Kirchhoff's Voltage (KVL) and Current (KCL) Low in Bengali | কারসফের ভোল্টেজ ও কারেন্ট সূূত্র
হ্যালো বন্ধুরা আজকে আমরা কারসফের ভোল্টেজ এবং কারেন্ট “ল” নিয়ে আলোচনা করব। এই দুটি সূত্র ডিসি সার্কিট সমাধানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন । যারা সার্কিট সমাধানে KVL ও KCL ব্যাবহারে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তাদের জন্য আজকের টিউটিরিয়ালটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। তাহলে আর কথা না বড়িয়ে চলুন শুরু করে দেই ➨কারসফ ভোল্টেজ “ল” (Kirchhoff's Voltage Low- KVL)
সূত্র: কোন মেস, লুপ, নোড বা নেটওয়ার্কের সকল ইএমএফ এবং ভোল্টেজ ড্রপের বীজগানিতিক যোগফল শূন্য।
ব্যাখ্যা: অর্থাৎ KVL মতে কোন বদ্ধ সার্কিটেই এই সূত্রটি প্রয়োগ করা যাবে । ঐ সার্কিটের যতগুলি ভোল্টেজ সোর্স এবং যতগুলি লোড আছে তাদের ভোল্টেজ ড্রপের যোগফল সমান হবে ।এখন আমরা নিচের চিত্রের সার্কিটটি সমাধানের চেষ্টা করে দেখি...
Kirchhoff's Voltage low | KVL |
- সূত্রটি যে লুপে প্রয়োগ করব সেই লুপে ঘড়ির কাটার দিকে বা বিপরীত দিকে ঘুরে ডাটা নিব। তবে আমি ঘরি কাটার দিকে ঘুরে কাজ করা সহজ মনে করি।
- KVL প্রয়োগের সময় আমরা প্রতিটা সোর্স এবং রেজিস্টরের প্রথম বা দ্বিতীয় যেকোন একটি চিহ্ন নিয়ে কাজ করব। যেমন ধরুন ভোল্টেজ সোর্স V1 এর প্রথম চিহ্ন নেগেটিভ এবং চিহ্ন পজিটিভ । এখন আমরা যদি V1 এর প্রথম চিহ্ন ধরি তাহলে সূত্রে ব্যাবহৃত অন্য প্যারামিটার গুলোরও প্রথম চিহ্ন ব্যাবহার করতে হবে। তবে আমি দ্বিতীয় চিহ্ন নিয়ে কাজ করা সহজ মনে ।
- এভাবে প্রতিটা প্যারামিটার চিহ্ন সহ সূত্রে বসালেই আমাদের কাজ শেষ।
V1 + (-Vr1) + V2 = 0
or, 10 - Vr1 + 5 = 0
or, - Vr1 = - 15
So, Vr1 = 15
এখন আমরা Vr1 মান পেয়ে গেলাম। এভাবে আমরা ছোট বড় যেকোন সমস্যাই সমাধান করতে পারব। শুধু নিয়মটা বুঝলেই হবে। তারপর যদি কারো বুঝতে অসুবিধা হয় আমাকে কমেন্ট বক্সে জানাবেন , চেস্টা করব ভাল কিছু দেয়ার।
কারসফ কারেন্ট “ল” (Kirchhoff Current Low - KCL )
সূত্র: কোন নোডে আগত কারেন্ট এবং নির্গত কারেন্ট সর্বদা সমান।
ব্যাখ্যা: অর্থাৎ KCL মতে কোন সার্কিটের কোন নোডে যেসকল কারেন্ট প্রবেশ করবে তাদের যোগফল এবং ঐ নোড হতে বের হওয়া কারেন্টের পরিমান সমান। KVL প্রয়োগ করা এর থেকে KCL অনেক সহজ। আমরা নিচের চিত্রটি সমাধান করলেই বুঝতে পারব।
Kirchhoff Current Low | KCL |
এখানে দেখা যাচ্ছে I1 কারেন্ট a নোডের দিকে আসছে এবং I3, I2 নোড থেকে বের হচ্ছে।
সুতরাং I1 = I2 + I3
or, 20 A = I2 + 7 A
So, I2 = 13 A
এখন I2 এর মান পেয়ে গেলাম এবং একটু লক্ষ করলেই বুঝতে পারবেন I3 এবং I4 সিরিজে আছে। তাই I4 = 7 A
আবার b নোডে KCL প্রয়োগ করে পাই,
I5 = I2 + I4
or, I5 = 13 A + 7 A
So, I5 = 20 A
অর্থাৎ ভোল্টেজ সোর্স হতে সার্কিটে যে পরিমান কারেন্ট বের হয়েছিল তা আবার ঢুকছে।
কি বন্ধুরা কি মনে হচ্ছে ? সহজ নাকি কঠিন ? Kirchhoff's Voltage low (KVL) Kirchhoff Current Low (KCL) নিয়ে যেকোন সমস্যা হলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
আজকে
এখানেই শেষ। আগামী পর্বে আবারো ফিরব নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভাল
থাকবেন এবং আজকের বিষয়টি কেমন লাগলো তা কমেন্ট করতে ভুলবেন না ।যদি ভাল লেগে থাকে তবে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর নতুন
পোষ্ট আপনার ইমেইলে পেতে সাবস্ক্রাইব করে নিন এখনি। তাছারা আমার সাথে
ব্যাক্তিগত যোগাযেগের জন্য কন্টাক্ট ফরমের মাধমে মেসেজ করতে পারেন। ধন্যবাদ
সবাইকে।আমাদের বিগত পোষ্ট গুলো পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন,
Electrical Circuit Basic Study in Bangla । বৈদ্যুতিক সার্কিট বেসিক জানুন বাংলায়
DC Circuit Basic Introduction in Bangla | বেসিক ডিসি সার্কিট পরিচিতি
Inductor and Capacitor in DC Circuit Bangla | ডিসি সার্কিটে ইনডাক্টর এবং ক্যাপাসিটর এর প্রভাব
Ohm's Low, Resistance Low, Voltage Divider Rule, Current Divider Rule, Series Circuit and Parallel Circuit in Bangla
No comments:
Post a Comment